WSIS Prizes এ ভোট বাড়ানোর কৌশল প্রয়োগ করার জন্য সময় আছে আর ১৪৪ ঘন্টা।
ভোট বাড়ানোর কৌশল
এটুআই এর ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট টিম যেসব প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন করছে সেখানে প্রশিক্ষণার্থীদের ভোট দেয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ শুধু নয় হাতে কলমে করিয়ে নেয়ার জন্য ফ্যাসিলিটেটরদের দায়িত্ব দেয়া উচিৎ।
ডিসি ও ইউএনওদের মাধ্যমে সকল সরকারী কর্মকর্তাদের ভোট দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিৎ করা যেতে পারে জেলা প্রশাসক, মেহেরপুরের মতো।
সকল প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানেই প্রশিক্ষণার্থীদের দিয়ে এমনটি করা যেতে পারে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সচিব সিরাজুল খান স্যার সকল পাবলিক মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপ্যালদের বলতে পারেন ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকগণ যেন ভোট দিতে ভুলে না যান। শুধু রংপুর মেডিকেল কলেজের অ্ধ্যক্ষ জনাব অনিমেষ মজুমদার একাই শত শত ভোটের ব্যবস্থা করে ফেলবেন বলে আমার ধারণা।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে সব পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের অনুরোধ করা যেতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ যদি ক্লাসে ক্লাসে ছাত্র-ছাত্রীদের বিষয়টি জানান ও উদ্বুদ্ধ করেন তাহলে লক্ষ লক্ষ ভোট পাওয়া অসম্ভব নয়।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির মাধ্যমে সব সরকারী-বেসরকারী কলেজের অধ্যক্ষদের বলে দেখা যেতে পারে। একজন অধ্যক্ষকে এ্যাকটিভ করতে পারলেই শত শত ভোট পাবে এটুআই এর প্রজেক্টগুলো।
প্রাথমিক ও মাধ্যদিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে মাঠে নামাতে পারলে ছাত্র-ছাত্রীদের নয় শিক্ষক-শিক্ষীকারাই লক্ষ লক্ষ ভোট দিয়ে ফেলবেন বলে আমার ধারণা।
যুব উন্নয়ন কেন্দ্রগুলোতে একটু উদ্যোগী হয়ে প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্বুদ্ধ করলে দারুণ ফল পাওয়া যাবে।
সমাজসেবা অধিদপ্তরের ডিজি গাজী কবির স্যারের সম্ভবত সবচেয়ে বেশী অনলাইনে এ্যাকটিভ কর্মকর্তা অাছে দেশ জুড়ে। স্যারের এক নির্দেশে শত শত ভোট পড়বে আমি নিশ্চিত।
বরিশালের জেলা প্রশাসক গাজী সাইফ যদি আগামী ১৪৪ ঘন্টা কাজে লাগান তাহলে বরিশাল থেকে প্রচুর ভোট পড়বে আশা করা যায়।
যেসব ডিপার্টমেন্টের উপজেলা পর্যায়ে অফিস আছে (কৃষি, মৎস্য, প্রাণি সম্পদ, খাদ্য নিয়ন্ত্রক, আনসার ও ভিডিপি, মহিলা বিষয়ক, পরিসংখ্যান, নির্বাচন, হিসাব রক্ষণ, প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য, সমবায়, যুব উন্নয়ন, বিআরডিবি, সমাজসেবা, প্রাথমিক শিক্ষা, মা্ধ্যমিক শিক্ষা, পল্লী বিদ্যুৎ, সাব রেজিষ্ট্রার, ভূমি, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ফায়ার সার্ভিস, কমিউনিটি ক্লিনিক, রিসোর্স সেন্টার, পরিবার পরিকল্পনা প্রভৃতি) তাদের জনবল বেশী বিধায় সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরগুলোকে তাগাদা দিলে ভাল ফল পাওয়া যেতে পারে।
সব সরকারী কর্মকর্তা/কর্মচারীর ফোনে এসএমএস পাঠিয়ে কি ভোট দেবার বিষয়টি মনে করিয়ে দেয়া যায়?
জানি, আরো অনেকভাবেই WSIS Prizes এ এটুআই এর প্রজেক্টগুলোর পক্ষে ভোট প্রদান বাড়ানো যায়। এটি আমার হঠাৎ ভাবনা থেকে লেখা। আশা করি অাপনার/অাপনাদের আইডিয়া কমেন্ট আকারে লিখে বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে এগিয়ে আসবেন।
ভোট দেয়ার কৌশল
ভোট প্রদানের লিংক
https://www.itu.int/net4/wsis/prizes/2017/
ভোট প্রদানের বাংলা নির্দেশিকা
http://bangladesh.gov.bd/sites/default/files/files/bangladesh.gov.bd/page/de3763cc_f8ce_4f7c_87f7_b8dcd89a1aa3/How%20to%20Vote%20for%20WSIS%202017_Bangla.pdf
ভোট প্রদানের ইংরেজী নির্দেশিকা
http://bangladesh.gov.bd/sites/default/files/files/bangladesh.gov.bd/page/de3763cc_f8ce_4f7c_87f7_b8dcd89a1aa3/How%20to%20Vote%20for%20WSIS%202017_English.pdf
ভোট প্রদানের ভিডিও নির্দেশিকা
https://drive.google.com/file/d/0B_GFTrOKx2MeRFFjRFRheXdFYU0/view
১৮টি ক্যাটাগরিতেই ১টি করে ভোট দিন
ভোট দেবার জন্য প্রথমে আপনাকে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। রেজিষ্ট্রেশনের পর প্রতিটি ক্যাটাগরিতে ১টি প্রজেক্টে ভোট দিতে পারবেন। কাজেই ১, ৩, ৭, ১০ নং ক্যাটাগরিতে নীচের টেবিল থেকে ৪টি প্রজেক্ট আইডিতে ভোট দিন। আর বাকী ১৪টি ক্যাটাগরিতে ইচ্ছেমতো যে কোনো প্রজেক্টে ভোট দিন। ভোট প্রদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে আপনাকে ১৮টি ক্যাটাগরিতেই ভোট দিতে হবে। ভোট প্রদানের শেষ তারিখ ৩০ এপ্রিল ২০১৭।