ধান গবেষণা কেন্দ্র, জয়দেবপুর, গাজীপুরে সাড়ে ৩ ঘন্টার কর্মশালায় নিজে কথা বলে, অংশগ্রহণকারীদের বেশী বলতে দিয়ে, ছোট্ট দুটো গ্রুপ ওয়ার্ক করিয়ে আর গোটা চারেক ভিডিও ক্লিপ দেখিয়ে ‘নাগরিক সেবায় উদ্ভাবন’ বোঝানোর চেষ্টা করলাম। ঠিক সাড়ে তিন ঘন্টাও না পৌনে ৩ ঘন্টা আসলে।
নাগরিক সেবায় উদ্ভাবন’ এর ৫ দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা যদি ক্রিকেটের টেস্ট ম্যাচ হয় তাহলে ২ দিনের কর্মশালা ওয়ান ডে ম্যাচ আর সাড়ে ৩ ঘন্টার এই কর্মশালাকে বলতে হবে টি-টোয়েন্টি। উদাহরণটা মনেহয় ঠিক হলো না, টি-টোয়েন্টিতে কম সময়ে রেজাল্ট পাওয়া যায় আর উত্তেজনাও থাকে প্রচুর। তো ৫ দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা যদি এক প্যাকেট বিরিয়ানি হয় তবে ২ দিনের কর্মশালা ১ বাটি আর কয়েক ঘন্টার এই কর্মশালাকে ১ টেবিল চামুচের বেশী বলা যাবে না। এর মাঝে আমাদের স্বভাবগত দেরী আর উদ্বোধন পর্বের আনুষ্ঠানিকতায় বিরিয়ানি ১ টেবিল চামুচ থেকে ১ চা চামুচে গিয়ে দাঁড়ালো। ডিজি মহোদয় প্রায় অর্ধেকটা সময় ও ডাইরেক্টরদ্বয় পুরো সময় মনোযোগী অংশগ্রহণকারী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল ও শাখা থেকে আগত বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাগণের চোখ মুখ দেখে মনে হলো ‘নাগরিক সেবায় উদ্ভাবন’ এর বিরিয়ানিতে পেট না ভরলেও স্বাদটা বুঝেছেন।
বিদায়ের সময় ডিজি মহোদয় মজা করে বললেন এই ধরণের আয়োজনে – আমার অফিসে আমাকেই প্রধান অতিথি হতে হয়, সভাপতিত্ব করেন চিফ ইনোভেশন অফিসার। এটি উদ্দেশ্যমূলক নাকি ভুলক্রমে সেটা নীতি নির্ধারকরা বলতে পারবেন। সেজন্যই লিখলাম।